ঢাকা: গাজা উপত্যকায় থামছে না ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরতা। গেল একদিনে সাংবাদিকসহ নিহত হয়েছেন ৮২ ফিলিস্তিনি।
নিহতদের মধ্যে মানবিক সহায়তার জন্য লাইনে দাঁড়ানো বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিসহ রয়েছেন এক ফিলিস্তিনি সাংবাদিকও। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন ২২৯ সংবাদকর্মী।
পশ্চিম তীরে সুপারমার্কেটে ছুরিকাঘাতে এক ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে দুই ফিলিস্তিনিকে।
এর মধ্যেই ১৩০ দিন পর প্রথমবারের মতো গাজায় প্রবেশ করেছে জাতিসংঘ সরবরাহকৃত ৭৫ হাজার লিটার জ্বালানি। তবে জাতিসংঘ বলছে, এই পরিমাণ জ্বালানিতে গাজার একদিনের প্রয়োজনও মিটবে না। উপত্যকার হাসপাতালগুলোতে জ্বালানি ঘাটতির কারণে সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, শতাধিক নবজাতক ও সাড়ে ৩শ’ ডায়ালাইসিস রোগীর জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে।
এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাস যদি অস্ত্র পরিত্যাগ করে ও শাসনক্ষমতা ছাড়ে, তাহলে যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ হতে পারে। এ প্রক্রিয়ায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করেছে বলে জানান তিনি। আলোচনার কথা বললেও বিকল্প হিসেবে বলপ্রয়োগেরও হুমকি দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
৬০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানকে ইসরাইলি দখলদারিত্ব ও গাজায় সামরিক হামলায় সহযোগিতার অভিযোগে দায়ী করেছিলেন তিনি, যার মধ্যে মার্কিন কোম্পানিও রয়েছে। আলবানিজ ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ‘অবৈধভাবে’ মামলা উসকে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছে ওয়াশিংটন।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :